Title
Heavy rains have caused extensive damage to roads in the Rangamati Road Division
Details
কয়েকদিন যাবত অবিরাম বর্ষণে রাঙ্গামাটির জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়ে। বিশেষ করে রাঙ্গামাটির সকল সড়কে পাহাড় ধ্বস ও পেভমেন্ট ধ্বসের মত অনেকগুলি ঘটনা ঘটে। পাহাড়ধ্বসের ফলে গাছপালাসহ পাথড়, নুড়ি পাথর, মাটি পেভমেন্ট এর উপড় পড়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয় এবং তাতে বৃষ্টির পানি জমে সড়ক কর্দমাক্ত, পিচ্ছিল হয়ে যানবাহন চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে। প্রতিদিন সড়ক ও জনপথ রাঙ্গামাটির সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সার্বক্ষণিক রাস্তায় অবস্থান করে পে-লোডারসহ বিভিন্ন যানবাহনের সাহায্যে পাহাড় ধ্বস মাটি ও
কাঁদা মাটি অপসারণ করে। বিশেষ করে গতকাল (০৭/০৮/২০২৩) প্রবল বর্ষনের ফলে চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি জাতীয় মহাসড়কের ১০ স্পটে, রাঙ্গামাটি-ঘাগড়া-চন্দ্রঘোনা-বাঙ্গালহালিয়া-বান্দরবান সড়কের ২১টি স্পটে, বাঙ্গালহালিয়া-রাজস্থলী সড়কের ৭টি স্পটে, রাঙ্গামাটি-মানিকছড়ি-মহালছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়কের কয়েকটি স্পটে, বগাছড়ি-নানিয়ারচর-লংগদু সড়কের ২টি স্পটে এবং রানীরহাট-কাউখালী সড়কের ২টি স্পটে পাহাড় ধ্বস ও পেভমেন্ট ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে যানবাহন চলাচল অনুপযোগী হয়ে যায়। রাঙ্গামাটি সড়ক বিভাগের নবাগত নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমার নেতৃত্বে কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ দিন-রাত পরিশ্রম করে বিভিন্ন যানবাহন ও লোকবলের মাধ্যমে স্বল্প মেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মাটি অপসারনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে যান চলা চল সচল করে দেয়। এব্যাপারে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আদনান ইবনে হাসান নির্বাহী প্রকৌশলীর নির্দেসে সার্বক্ষণিক একটিভ ছিলেন।
তাছাড়া প্রবল বর্ষণ ও পানির স্রোতের কারণে ০৭/০৮/২০২৩ তারিখ দুপুর হতে চন্দ্রঘোনা ফেরীঘাটের পন্টুন ও গ্যাংওয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে ফেরী পারাপার বন্ধ হয়ে যায়। রাঙ্গামাটি সড়ক বিভাগ ও রাঙ্গামাটি কারখানা বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ সার্বক্ষণিক প্রচেষ্ঠা চালাচ্ছেন। আশা করা যায় আগামী কাল ০৯/০৮/২০২৩ তারিখ থেকে ফেরী পারাপার চালু করা যাবে বলে কারখানা উপ-বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রনেল চাকমা ও সড়ক বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী কির্ত্তি নিশান চাকমা জানিয়েছেন।